বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম
আওয়ামীলীগের ইসলাম বিরোধী কর্মমকান্ড:
মুসলমান
হিসেবে আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়া বা সমর্থন করা সম্পূর্ণ হারাম।
সংকলনে:
মাওলানা মো: শিহাব এম এ- ইসলামিক স্টাডিজ (বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ)
(প্রথম অংশ)
১৯৪৭ সনের পূর্বেই মুসলিম লীগের ভিতর সমাজতন্ত্রী-ইসলাম বিরোধী
একটি উপদল গড়ে উঠে, যারা পাকিস্তান সৃষ্টির পর মুসলিম কর্মী সংঘ নামে সংগঠিত হতে
থাকেন । ১৯৪৯ সনে মুসলিম লীগ ভাগ করে “আওয়ামী মুসলিম লীগ” গঠন করে ।১৯৫৪ সনের
নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবির মধ্য দিয়ে “মুসলিম” শব্দটিরও পতন শুরু হয়
।আওয়ামী মুসলিম লীগ তার দলের নাম থেকে “মুসলিম” শব্দটিকে বিদায় করে প্রকাশ্যে
মুসলিম চেতনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১- স্বরাজ পার্টির গঠনতন্ত্রকেই আওয়ামী লীগ গঠনের সময় তার
গঠনতন্ত্র হিসাবে গ্রহণ করে। স্বাভাবিকভাবেই বুঝা যাচ্ছে একটি হিন্দু সংগঠনের
লক্ষ্য ও কর্মসূচীকেই স্বজ্ঞানে যে দল তার লক্ষ্য ও কর্মসূচী গ্রহণ করে সে দল যে
ইসলাম বিরোধী হবে তাতে কারো সন্দেহ থাকার কথা নয় ।
২- ১৯৫৫ সনের ১৭ই ফেব্রুয়ার যুক্তফ্রন্ট পার্লামেন্টারী পার্টির
সভায় যখন শেরে বাংলা কুরআন পাঠ শুরু করেন তখন আওয়ামী এম,পি, বরিশালের ফরমুজ্জল
হক তাতে বাধা দেয় এবং অন্যান্য আওয়ামীগণ তার সঙ্গে চিৎকার শুরু করে, ফলে কালামে
পাক পড়া সম্ভব হয় নি ।
৩- আতাউর রহমান সরকার নবী দিবসে পল্টন ময়দানে মাহফিল বন্ধ করে ১৪৪
ধারা জারী করে ।
৪- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানে ইসলামী শাসনতন্ত্রের
বিরুদ্ধে জাতীয় পরিষদে বক্তব্য রাখেন।
৫- আতাউর রহমান মন্ত্রীসভা মন্দির মেরামতের জন্য টাকা দিতে পারলেও
কোন মসজিদ মেরামতে কেন পয়সা খরচ করতে পারলো না।
৬- যে মনোরঞ্জন ধর পরিষদে কোরান পাঠে বাধা দিল তাকে নিয়েই
মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছে।
৭- ১৯৭২ সন থেকে আওয়ামী লীগ ও তার মুক্ত চিন্তার বুদ্ধিজীবীরা
প্রচার করা শুরু করেন যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর ইসলামী চেতনা এক নয়। ইসলামপন্থী
ও মুসলিম জাতীয়তাবাদীরা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন তাই
তাদের এ প্রচারণা এ দেশের নব্বই শতাংশ মানুষের মতই বিপক্ষে গেলেও তারা তাদের ঐ
প্রচারণার বিপক্ষে চুপ থেকেছেন ।
৮- এ সুযোগে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোগ্রাম থেকে কোরআনের
উদ্ধৃতি “রাব্বি জিদনি ইলমা”, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে
মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়। ইসলামের প্রতি রুষ্টতা এতোই বেশী ছিল যে, কবি নজরুল
ইসলাম’ কলেজের নাম বদলিয়ে রাখা হয় কবি নজরুল’ কলেজ ।
৯- ১৯৭২ সনে প্রণীত সংবিধানে রাষ্ট্র ও সমাজ পরিমন্ডলে ধর্মীয়
অনুশাসন অনুসৃতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্যই ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি
হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইসলামী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ
অনুসারে নিষিদ্ধ করা হয় ।
১০- ১৯৯৬ সনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে তার
আসল মূর্তি প্রকাশ করতে থাকে। তাদের ঘরাণার বুদ্ধিজীবিরা ইসলামী মূল্যবোধ ও মুসলিম
চেতনাকে আঘাত হেনে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চালাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা কুকুরের
মাথায় টুপি পরিয়ে প্রদর্শন করারও সাহস দেখায়।
১১- পুলিশকে বায়তুল মোকাররমে জুতা নিয়ে প্রবেশ করানো, শায়খুল হাদীস
আল্লামা আজিজুল হককে গ্রেপ্তারসহ অসংখ্য মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া। ক্ষণে ক্ষণে
মন্ত্রীদের মাদ্রাসা নিয়ে বিষোদগার অব্যাহত থাকা
১২- ২০০৯ সনে ক্ষমতা লাভ করে তারা পুরাপুরিভাবে ইসলামী মূল্যবোধ ও
মুসলিম চেতনা বিরোধী কর্মকাণ্ড শুরু করে । সৈয়দ আশরাফ বলেন “আমি হিন্দুও নই,
মুসলমানও নই।" তার কথাই সত্য; একজন ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদী মুসলমানও হতে পারেন
না, হিন্দু বা অন্য কোন ধমাবলম্বী হতে পারেন না ।
১৩- মাদ্রাসা শিক্ষাকে ‘জঙ্গী প্রজনন কেন্দ্র’ হিসেবে চিত্রায়িত
করার জন্য মিডিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দালাল ও নাম সর্বস্ব মাওলানাদেরকে দিয়ে
দেশের প্রথিতযশা, বরেণ্য ও গণস্বীকৃত ধর্মীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদগার,
মিথ্যাচার, চরিত্রহরণমূলক অভিযান। নিয়মিত কার্যক্রমে রূপ নিয়েছে।
১৪- আল্লাহ রাসূল সঃ নিয়ে কটুক্তিকারী নাস্তিকদের বাঁচানোর জন্য
হেফাযতে ইসলামের সমাবেশের উপর ক্র্যাকডাউন প্রমাণ করে তারা কতটা ইসলাম বিদ্বেষী।
২। আওয়ামীলীগপন্থী বুদ্ধিজীবীদের ইসলাম বিরোধীতা:
১- মুক্তবুদ্ধি চর্চার নামে আল্লাহ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত
হওয়াকে আধুনিকতা ও প্রগতিবাদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে আসছে। সমাজতান্ত্রিক
চিন্তাধারা হচ্ছে আধুনিক, পুঁজিবাদ হচ্ছে বুর্জয়া প্রতিক্রিয়াশীল আর ধর্ম হচ্ছে
আফিম, এমন চিত্তাকর্ষক শ্লোগান সে সময়ের তরুণদেরকে আকৃষ্ট করে। সে সময়ের অনেক
তরুণই পরিণত বয়সে সমাজতান্ত্রিক বিশ্বাসের দিক পরিবর্তন করে আবার ইসলামের দিকে
এসেছেন। কিন্তু অনেকেই তাদের পূর্ব বিশ্বাসেই আস্থাশীল থেকে ধর্মহীনতার বিষ সমাজে
ছড়াচ্ছে।
২- বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই দাউদ হায়দার ইসলামসহ অন্যান্য
ধর্মকে আঘাত হানলে মুসলিমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে। শেখ মুজিব তাকে
সেইভ করার জন্য জার্মানীতে প্রেরণ করেন। একই ধারায় লিখতে গিয়ে তসলিমা নাসরিনকেও
জনরোষে পড়তে হয় । তিনিও দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
৩- আহমদ শরীফ তার ক্লাসে বলতেন, “এতদিন তোমরা কোরআন শরীফের কথা
শুনেছ, হাদীস শরীফের কথা শুনেছ; এখন শোন আহমেদ শরীফের কথা।” নামাজের আজানকালে
ক্লাসে মেয়েরা মাথায় কাপড় দিলে তিনি বলতেন “আল্লাহ কি তোমাদের ভাসুর যে মাথায়
কাপড় দিতে হবে?”
৪- হুমায়ুন আজাদ তার আমার অবিশ্বাস বইতে বলেন “বিশ্বাসের জগতটি
পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন। বিশ্বাসের বইগুলো অন্ধকারের বই, ওগুলোর কাজ মানুষের মনকে
গভীর অন্ধকারে আবৃত করা। “চারপাশের ধর্ম দেখে মনে হতে পারে যে মানুষ ধর্ম ছাড়া
বাঁচতে পারে না, সত্য হচ্ছে ধর্মের মধ্যে মানুষ বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। মানুষ
মৰ্মমূল ধর্মবিরোধী, মানুষের পক্ষে বেশী ধর্ম সহ্য করা অসম্ভব।
ধার্মিকেরাও যতোটা ধাৰ্মিক তার থেকে অনেক বেশি অধাৰ্মিক । মানুষের
সৌভাগ্য মানুষ বেশি ধর্ম সহ্য করতে পারে না, তাই বিকাশ ঘটেছে মানুষের। বেশি ধর্মে
মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধাৰ্মিক মানুষ অসুস্থ মানুষ। ধর্মের বইগুলো সত্যের ওপর
প্রতিষ্ঠিত নয়। পরলোক হচ্ছে জীবনের বিরুদ্ধে এক অশ্লীল কুৎসা, পরলোকের কথা বলা
হচ্ছে জীবনকে অপমান করা। পরলোকে বিশ্বাস জীবনকে করে তোলে নিরর্থক।
৫- শামসুর রাহমান বলেন, তসলিমা নাসরিনকে তো দেশে থাকতেই দেয়া হয়নি।
সে দেশে আসতে পারছে না। তার অপরাধ সে লিখেছে, সে নারী জাগরণের কথা লিখেছে। নারী
স্বাধীনতার কথা লিখেছে। কতগুলো ধমান্ধ, স্বাধীনতাবিরোধী, মানবতাবিরোধী, কুপমণ্ডূক,
বদমাশ এদেশকে অন্ধকারে রাখতে চায়। এদের কারণে দেশে মুক্ত সাহিত্যচর্চার জন্য
পূণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত হচ্ছে না। বর্তমানে গোলটুপির সংখ্যা বেড়ে গেছে ।
...মোল্লারা তো মেয়েদের মানুষই মনে করে না ।”
তথ্যসূত্র:
১- বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ, রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী
২- আমার অবিশ্বাস, হুমায়ুন আযাদ
৩- সাক্ষাৎকার, (কবি শামসুর রহমানের সাক্ষাৎকার) এম সহিদুল ইসলাম,
মৃদুল প্রকাশন।
৪- বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ বহুমাত্রিক বিশ্লেষন, এম আই হোসেন।
৪- বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ বহুমাত্রিক বিশ্লেষন, এম আই হোসেন।
৩। আওয়ামীলীগ সরকারের কিছু
বিতর্কিত কর্মকান্ড:
১. বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭
জন সেনা কর্মকর্তা হত্যা ও সীমান্ত অরক্ষিত করা। ২. ভারতের সঙ্গে অধীনতা মূলক
ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট সই। ৩. গোপন চুক্তির মাধ্যমে অথবা কোনো চুক্তি ব্যতীত
ভারতকে নির্লজ্জভাবে করিডোর প্রদান। ৪. টিপাই মুখ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতার
পরিবর্তে ভারতের পক্ষে সাফাই। ... ৫. দেশের জনগণকে তিস্তা পানি চুক্তির আশা দিয়ে
ভারতের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ। ৬. ভারতকে বাংলাদেশের জমি এক তরফা প্রদান। ৭.
বিচার বিভাগসহ প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নগ্ন দলীয়করণ। ৮. শেয়ার বাজার থেকে
সাধারণ বিনিয়োগকারীর লাখো-কোটি টাকা লুট। ৯. পঞ্চম সংশোধনী বাতিল। ১০. সংবিধান
থেকে আল্লাহ্র প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দেয়া। ১১. কথিত ইসলামী জঙ্গিদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নামে সারা দেশে ইসলাম বিরোধী আবহ তৈরি। ১২. ক্ষুদ্র জাতি
গোষ্ঠীদের জোর করে বাঙালি বানিয়ে পিতার মতো পুনরায় পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করা।
১৩. তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল। ১৪. বিরোধী মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রযন্ত্রের ভয়াবহ নির্যাতন। ১৫. মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ১৬. সংবাদ মাধ্যমের
স্বাধীনতা হরন। শীর্ষ নিউজ/আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেফতার ১৭. সরকারে
সর্বগ্রাসী দুর্নীতির ভয়াবহ বিস্তার। ১৮. ড. ইউনূসসহ সমাজের অন্যান্য সম্মানিত
ব্যক্তিবর্গকে অপমান ও নিগ্রহ। ১৯. জাতীয় সংসদকে অকার্যকর, একদলীয় করে তোলা। ২০.
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপকে প্রকাশ্য রাজপথে অর্ধ উলঙ্গকরে লাঠিপেটা এবং পুলিশের গাড়ি
থেকে লাথি মেরে ফেলে প্রাণনাশের চেষ্টা করা। ২১. নাটোরের বাবু, নরসিংদীর লোকমান,
ঢাকার চৌধুরী আলমের মতো জন প্রতিনিধিদের সরকারি পেটোয়া বাহিনী কর্তৃক প্রকাশ্যে
হত্যা অথবা গুম-খুন। ২২. দ্রব্য মূল্যের অসহনীয় বৃদ্ধি।মূল্যস্ফিতি ডাবল ডিজিটে
আনা। ২৩. আইন-শৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি। ২৪. দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে ধস
সৃষ্টি।ক্রমাগতভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ কমা। ২৫. দেউলিয়া পররাষ্ট্র নীতির
মাধ্যমে বাংলাদেশকে মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা। ২৬. অপরিকল্পিত ভাবে উচ্চ মূল্যের
তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের মাধ্যমে সাশ্রয়ী সরকারী বিদ্যুৎ
কেন্দ্রসমূহ অকার্যকর করা। ২৭. দলীয় বিচেনায় বিভিন্ন মামলায় ফাসির আসামিদের ক্ষমা
মওকুফ করা ২৮. পদ্মা সেতুতে দূর্নীতির মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্য দাতা
সংস্থার সাথে বিরুপ সম্পর্ক তৈরী করা ২৯. জনশক্তি রপ্তানীতে ধস নামানো। ৩০.
পররাষ্ট্র মন্ত্রির বিদেশ সফরে বিশ্ব রের্কড।
' বাংলাদেশের ইতিহাসে ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র হয়ে
থাকবে এটি, -''নবম-দশম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে আওয়ামীলীগ কোরআন কে বদলে
দিয়েছে, ''ওরা নতুন করে হালাল হারামের সংজ্ঞা শিখাচ্ছে, বইয়ে লিখেছে, '' দেব-দেবী
ও আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম।''...
আস্তাগফিরুল্লাহ।
দেখে নিন ক্ষমতায় আসার পর ইসলাম বিরোধী আওয়ামীলীগ কিভাবে বাংলার
বুকে ইসলাম কে ধ্বংস করতে মন্তব্য করে গেছে...
১.কুত্সিত চেহারা ঢাকতেই মেয়েরা বোরখা পড়ে । -ডেপুটি স্পিকার শওকত
।
২.বঙ্গবন্ধু মদ জুয়া হারাম করেছিলেন । -নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান ।
৩.গ্রামে গন্জে ইসলামিক জালসা বন্ধ করতে হবে । -পঙ্কজ কুমার
৪.মেয়েদেরকে বোরকার হাতথেকে রক্ষা করতে হলে তাদেরকে নাচ গানের শিক্ষা
দিতে হবে । -হাছান মাহমুদ
৫.সেনাবাহিনী থেকে ইসলামপন্থীদেরকে বিতারিত করতে হবে । -জয়, ২০১৪
সালে এই ঘোষণা দেয়ার পর সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী থেকে কয়েক হাজার চাকরিজীবিকে
বিভিন্ন অজুহাতে আওয়ামী দালাল কর্মকর্তারা চাকরীচ্যুত করে।
৬.রাসুল সাঃ হিন্দুদের পূজার জন্য মসজিদের অর্ধেক জায়গা ছেড়ে
দিয়েছে । -ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ।
৭.জোর করে মেয়েদের বোরখা পরানো যাবে না । -হাইকোর্ট
৮.আমি মুসলমান ও নই,হিন্দু ও নই । -সৈয়দ আশরাফ । (taile হে কি
শিখ?)
৯.মা দুর্গা গজে চরে এসেছে বলে ফলন ভাল হয়েছে । -শেখ
হাসিনা । আরও প্রমান রয়ে গেছে আওয়ামীলীগ কিভাবে বাংলার বুক
থেকে ইসলাম কে
ধ্বংস করতে চেয়েছে... আর ক্ষমতায় এসেই, নাস্তিক ব্লগারদের দিয়ে
এজেন্ডা বানিয়ে একের পর এক ইসলামের উপর আঘাত হেনেছে ও ইসলাম ও আল্লাহর রাসুল (স)
কে হেয় প্রতিপন্ন করে গেছে। বাংলার
মুসলমান, ইসলাম বিরোধী আওয়ামীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন।
আওয়ামীলীগের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য ও
কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরির কাজ চলছে।৩টি ক্যাটাগরিতে সাজানো এই তালিকা
তৈরিতে আপনাদের সহযোগিতা কাম্য।এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত সর্বাধিক তথ্য সংবলিত এই
পোস্টটি পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সকলে সংগ্রহে রাখুন এবং শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে
দিন। সম্ভব হলে পেজের মূল পোস্টে আরও এ রকম তথ্য (রেফারেন্স সহ) কমেন্টে শেয়ার করে
আমাদেরকে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে সাহায্য করুন।
আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী বামপন্থীদের ইসলাম
বিরোধী উক্তি সংগ্রহঃ
১।তথা কথিত আল্লাহর শাসন দিয়ে কিছু হবে
না~আশরাফ
২।আগামীবার ক্ষমতায় আসলে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামও
তুলে দেব~সুরঞ্জিত
৩।কোরআনের তাফসিরের প্রকাশনা বন্ধ~সরকারী ডিজি
৪।আগামীতে ক্ষমতায় এলে ধর্মের ছায়া টুকুও মুছে
ফেলা হবে~সাজেদা
৫।ধর্ম হল নেশার মত ~আব্দুল লতিফ
৬।রাসুল (সাঃ) কে কটুক্তি করা স্বাভাবিক বিষয়,
এটা নিয়ে হৈচৈ করা ঠিক নয়~তথ্য মন্ত্রী ইনু
৭।রাসুল সাঃ হিন্দুদের পূজার জন্য মসজিদের
অর্ধেক জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন~ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
৮।মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ধর্ম নিরপেক্ষ
ছিলেন ! সংসদে মহাজোট
এমপি এমপি বাদল ~~ (৫/৩/১৩)
৯।মা দূর্গা গজে চড়ে এসেছিলেন বলে ফলন ভালো
হয়েছে~ হাসিনা
(৫ অক্টোবর ঢাকার ঢাকেশ্বরী পুঁজা মন্ডপ
পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেছেন
১০।গ্রাম গন্জে ইসলামিক জলসা বন্ধ করতে
হবে~পঙ্কজ ভট্টাচার্য।
১১।মেয়েদেরকে বোরকার হাত থেকে রক্ষা করতে
হলে,তাদের নাচ গান শিক্ষা দিতে হবে~হাসান মাহমুদ
১২।বোরকার ব্যবহার ৫০০% বেড়ে গেছে,বন্ধ করতে
হবে,~সজিব ওয়াজেদ জয়
১৩।সেনাবাহিনীতে কওমী মাদ্রাসার ছেলে বেড়ে গেছে'
(কওমি সনদের সরকারী স্বীকৃতি নেই)~সজিব ওয়াজেদ জয়
১৪।২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দু প্রধানমন্ত্রী চাই'~সজিব ওয়াজেদ জয়
১৫।সেনাবাহিনী থেকে ইসলাম পন্থীদের বিতাড়িত করতে
হবে~সজিব ওয়াজেদ জয়
১৬।কুতসিত চেহারা ঢাকতেই মেয়েরা বোরকা
পরে~ডেপুটি স্পীকার
১৭।আমি মুসলিমও নই হিন্দুও নই~আশরাফ
১৮।বঙ্গ বন্ধু মদ জুয়া হারাম করেছেন~নৌমন্ত্রী
শাজাহান খান
১৯।কওমী মাদ্রাসার ছেলেরা কিচ্ছু জানে
না,উজবুক,এরা শুধু মুখস্থ করে~অর্থ মন্ত্রী মুহিত
২০।কওমি মাদ্রাসাগুলো জঙ্গী প্রজনন
কেন্দ্র~আইনমন্ত্রী
২১।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি- শামীম আফজল, সে
ইমাম প্রশিক্ষণ সম্মেলনে নাচ- গানের জলসার আয়োজন করেছে (দুই বিদেশি নর্তক-নর্তকী
সেখানে প্রকাশ্য চুম্বন দৃশ্যে অংশ নিয়েছে) এবং ঐ ডিজি সেই খানে বলেছেন যে
”ইসলামেই এত সন্ত্রাসী আছে, অন্য ধর্মে কোন সন্ত্রাসী নেই”।
২২।সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ ব্যাপারে বৈঠকে বলেছেন- 'এক দিকে ধর্ম নিরপেক্ষতার বিধান আর অন্য দিকে ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে রাখা সাংঘর্ষিক।
(০৪ মে ২০১১) http://www.kalerkantho.com/print_edition/…
২৩।জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বলেন, 'সংবিধানে বিসমিল্লাহ বা কোনো রাষ্ট্র ধর্ম থাকতে
২২।সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ ব্যাপারে বৈঠকে বলেছেন- 'এক দিকে ধর্ম নিরপেক্ষতার বিধান আর অন্য দিকে ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে রাখা সাংঘর্ষিক।
(০৪ মে ২০১১) http://www.kalerkantho.com/print_edition/…
২৩।জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বলেন, 'সংবিধানে বিসমিল্লাহ বা কোনো রাষ্ট্র ধর্ম থাকতে
পারে না। (৪ মে ২০১১)
২৪।আওয়ামীলীগ মুক্তি যুদ্ধের দল হবার পরও দেশ
থেমে ইসলাম ধর্মকে বাদ দিতে পারছেন
না। -সুলতানা কামাল (6-9-13)
২৫।হুজুরদের কবর রচনা করবো:-রাশেদ খান মেনন---
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের পর তার
উপস্থিতিতে মিছিলের শ্লোগান ছিল।
২৬।হেফাজতি হুজুররা লন্ডন আমেরিকা থেকে মদ
বিক্রির টাকা এনে এদেশে মাদ্রাসা করছেন।~ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা
শহীদ
২৭।লাকুম দ্বীনু কুম অলিয়াদ্বীন.......বুখারী
শরীফের হাদিস – শেখ হাসিনা
২৮।লা কুম দ্বীনু কুম
অলিয়াদ্বীন..........দোয়ায়ে কুনুত – মতিয়া চৌধুরী
২৯।হেফাজতের দাবি মধ্য যুগীয় নিয়মের হয়ে যায় আর
তাদের দাবি মানলে দেশ ১৪০০ বছর
আগের সময়ে পিছিয়ে যাবে – হানিফ
৩০।হেফাজতের ১৩ দাবি সংবিধানের সাথে সাংঘরসিক বিধায় মানা জাবে না – পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনি
৩১।বাংলাদেশের সংবিধান সমকামীদের অধিকারের
পক্ষে- পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনি
(গত এপ্রিল মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সাল
পিরিয়ডিক রিভিউতে তিনি এ তথ্য জানান।)
৩২।বাংলাদেশের মুসলমানরা সংখ্যা লঘিষ্ঠ – টক
শোতে আওয়ামীলীগ নেত্রী রোকেয়া প্রাচী
৩৩।শুধু আওয়ামিলীগের কর্মিরাই রাসুলের উম্মত-
মতিয়া চৌধুরী
৩৪।মাদরাসার ছাত্র কমানোর আন্দোলন শুরু করেছি’-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র জয় (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ইনকিলাব)
http://www.dailyinqilab.com/2013/09/14/133013.php
৩৫।বিসমিল্লাহ বলে বলির খাসির মাংস খাওয়া জায়েজ- সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
৩৫।বিসমিল্লাহ বলে বলির খাসির মাংস খাওয়া জায়েজ- সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
(সুনাম গঞ্জের শাল্লা উপজেলা আওয়ামীলীগের
উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথা বলেন দপ্তর
বিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ৭আগস্ট, ২০১২)
(সবগুলোর রেফারেন্স আছে, ইন্টারনেটে সার্চ দিন,
পেয়ে যাবেন)
***************
৬। বর্তমান সরকারের ইসলাম বিরোধী বড় বড় কিছু কাজের
তথ্যঃ
** বাইতুল মোকাররমের সাবেক খতিব হক্ব পন্থী মাওলানা নুরুদ্দীনকে পরিকল্পিত ভাবে
হত্যা করে বিতর্কিত ব্যক্তি মাইজভান্ডারী ভন্ড সালাহ উদ্দীনকে খতীব নিয়োগ করে
"ইসলাম- বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দলোনের কেন্দ্র বিন্দু বাইতুল
মোকাররম" কে নিষ্ক্রিয় করণ**
** সংবিধান থেকে "রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম"
ও "আল্লাহর উপর আস্থা"কে অপসারণ**
** কুরআন বিরোধী নারী-নীতি মালা প্রণয়ন।**
** নাস্তিক বাম কর্তৃক শিক্ষা নীতি প্রণয়ন**
** মাধ্যমিকে "ইসলাম ধর্ম শিক্ষা" কে
ঐচ্ছিক করা**
** উচ্চ মাধ্যমিক থেকে থেকেও ঐচ্ছিক বিষয় ইসলাম
শিক্ষা বিষয় বাদ** (শুনেছি, একটু খোঁজ নিতে হবে)
** ২০ জন বোরকা পরিহিতাকে জেলে নিয়ে বোরকা
খুলাকরণ/ হাইকোর্টে বোরকায় বাধ্যতা নিষেধ রায় দিয়ে পরোক্ষভাবে উলঙ্গপনায়
স্বাধীনতা প্রদান**
** আল্লাহ/রসুলকে কটূক্তিকারীদের পদ
লেহন/নিরাপত্তা ও উত্সহ প্রদান/ এমনকি বার বার জামিন দেওয়া**
** নাস্তিক তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মিছিলে ওলামা
ও সাধারণ মুসল্লীদের পুলিশি হামলায় হত্যা**
** প্রথম শ্রেণীর বাংলা বই থেকে "মহানবী
(সা) এর ভালবাসা" গল্পটি উচ্ছেদ**
** দ্বিতীয় শ্রেণীর বই থেকে "সবাই মিলে
করি কাজ" (খন্দক যুদ্ধের ঘটনা) অপসারণ**
** ৩য় শ্রেণীর বই থেকে "তুলি দুই হাত করি
মোনাজাত" ও "হযরত আবুবকর" নিশ্চিহ্ন**
** ৪র্থ শ্রেণীর বই থেকে"হযরতউমর
(রা)" উধাও**
** ৫ম শ্রেণীর বই থেকে"বিদায়হজ্ব"
প্রবন্ধটির মূলোত্পাটন**
** মাদ্রসা বোর্ডের নবম-দশম বই এ আল্লাহর সন্তান
আছে বলে উল্লেখ করা**
(বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল
নবম-দশম শ্রেণীর ‘বাংলা সাহিত্যের’ ১৯নম্বর গদ্যাংশের ৯৪ নম্বর পৃষ্ঠায় মোহাম্মদ
আকরম খাঁ রচিত ‘বিদায় হজ্ব’ অধ্যায়ে ‘অসাম্যের প্রতিবাদ’ প্যারার ৯৬পৃষ্ঠার
দ্বিতীয় লাইনে ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’ (নাউজুবিল্লাহ) লেখা হয়েছে “কুল পতি হজরত
এব্র্রাহিম এই সহানুভূতি শিক্ষা ও সাম্যের শিক্ষাদানের জন্যই ‘ইতর-ভদ্র’
নির্বিশেষে ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’ আরাফাত ময়দানে সমবেত হইবার জন্য আহ্বান
করিয়াছিলেন।” আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা সম্পূর্ণ শিরক।পবিত্র আল কুরআনে শিরক
(আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা) কবিরা গুনাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।)
** মহানবী স: কে ধর্ম নিরেপেক্ষ নবী বলা/ এবং মদীনাকে ধর্মনিরেপক্ষ রাষ্ট্র বলা**
** নবম-দশম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিকশিক্ষা’
বইতে দেব দেবীকে আল্লাহর সমকক্ষ করা এবং
দেব দেবীর নামে পশু উৎসর্গ করা পরোক্ষভাবে জায়েজ আখ্যায়িত করা**
(শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও
পাঠ পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের মাধ্যমে ভয়াবহ
শিরক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের।২০১৩ সাল থেকে নবম-দশম শ্রেণীর
জন্য পাঠ্য ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের পাঠ ২৪-এর একটি বিষয়
হলো ‘শরিয়তের আহকাম সংক্রান্ত পরিভাষা’।পরিভাষার অধীনে একটি বিষয় হলো
‘হালাল-হারামের সংখ্যা’। হারাম-হালালের সংখ্যা বিষয়ে ৮২ পৃষ্ঠায় ১৭ ধরনের হারাম
বস্তুর তালিকা দেয়া হয়েছে। তালিকার ৫ নম্বর ক্রমিকে লেখা হয়েছে ‘দেব দেবীর বা
আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম’।
এখানে দেব দেবীর নামে পশু উৎসর্গ করা না হলে সে
পশুর গোশত খাওয়া হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মানে হলো দেব দেবীর নামে কোনো পশু
উৎসর্গ করা হলে তার গোশত খাওয়া হালাল!
একই সাথে এখানে দেব দেবীকে আল্লাহর সমকক্ষ করা
হয়েছে!
পবিত্র কুরআনে পশুর গোশত হারাম হওয়া বিষয়ে যে
সুস্পষ্ট আয়াত রয়েছে, তারও সরাসরি বিপরীত পাঠ্য পুস্তকের এ বিষয়টি।)
** মাদ্রাসায় আ.লীগের দেয়া আগুনে পুড়লো কোরআন
শরীফ**
(১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ফেনী: ফেনী সদর উপজেলার
ধলিয়া ইউনিয়নের বালুয়া চৌমুহনী সংলগ্ন আল-হেরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আওয়ামীলীগ
নেতাকর্মীদের দেয়া আগুনে কোরআন শরীফ পুড়েছে।
** রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
ভাইস প্রিন্সিপাল ও শ্রম মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর স্ত্রী মাহবুবা খানম
কল্পনা অর্ধ শতাধিক ছাত্রীর জামার ফুলহাতার অর্ধেক কেটে দিয়েছেন।** (মে, ২০১৩)
** বাইতুল মুকারর মমসজিদের ভিতরে ঢুকে
মুস্ললিদের উপর গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং বেধড়ক পিটুনি দেয় আওয়ামী পুলিশ**
(ভিডিও অনলাইনে আছে)
** নামাজরত অবস্থায় রুকু থেকে মুসল্লী ধরে আনে
চট্টগ্রামের পুলিশ** (ছবি অন লাইনে আছে)
** সারা দেশে দাড়ি-টুপি পরিধানকারী মানুষের
প্রতি হয়রানি, নির্যাতন, দাড়ি ধরে টানা টানি করা (পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি আছে),
মিথ্যা মামলায় জড়ানো এগুলো এই সরকারের চামচা পুলিশগুলোই করেছে।**
**হেফাজতের সমাবেশে যৌথ বাহিনীর অভিযান ও
নির্বিচারে গণহত্যা**
**সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রখ্যাত আলেম ৯৩ বছর বয়স্ক
আল্লামা শফিকে নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত মিথ্যাচার ও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক “তেতুল
হুজুর” আখ্যা দেওয়া।**
** জামাতের গঠনতন্ত্রে “আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা
ও বিশ্বাস” কথাটা আছে বলে তা বর্তমান পরিবর্তিত সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক আখ্যা
দিয়ে এদের নিবন্ধন বাতিল করা**
** প্রকৃত পক্ষে রাজাকার না হওয়া স্বত্বেও
মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জামাতের নেতাদের শুধু
মাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশে ফাঁসি দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা**
** সারা দেশে জামাত-শিবিরের কর্মীদের মানুষ
হিসেবেও মর্যাদা টুকু না দিয়ে অত্যাচার, নির্যাতন, গণহত্যা।**
**রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের
দুই তলা (২৩১ নম্বর কক্ষ) থেকে নর্দমায় কুরআন শরিফ ছুড়ে ফেলে ছাত্রলীগ নেতা
সূর্য কুমার রায়।সরকার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।** (২২ নভেম্বর, ২০১২,
দৈনিক নয়া
** সারা দেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং
তাদের সকল অপকর্ম ক্ষমা করে দেওয়া।**
** মসজিদের মাইক্রোফনে সেহরীর সময় ডাকা ডাকি
করায়, ইমামকে প্রাণ দিতে হল এক দল হিন্দু যুবকের হাতে।**- কোন বিচার হয় নি।
(গত ২১/০৭/২০১৩ তারিখে উত্তরখান থানার সামুর
খানে ভোর রাতে ইমাম সাহেব কে ডেকে নিয়ে অনিল, মিখিল সহ আর ও ৭-৮ জন নির্মম প্রহার
করে। ইমাম সাহেবের অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে পর দিন ২২/০৭/২০১৩ তারিখে, স্থানীয়
প্রভাবশালীদের চাপের মুখে মসজিদ কমিটির সভাপতি ইমাম সাহেবকে তার গ্রামের বাড়ি
পাঠিয়ে দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কিশোর গঞ্জ জেলার জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, গত ৩১/০৭/২০১৩ তারিখ সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার অন্তর্গত এলাচী গ্রামে।নাম-
মাওলানা মোহাম্মাদ আখের আলী।তিনি ময়নার ট্যাক গিয়াস উদ্দীন সরকার বাড়ি মসজিদের ইমাম
ছিলেন।)
**জানাজার নামাজের ভয়াবহ অবমাননা/ (ভয়ানক ইসলাম
বিদ্বেষী ব্লগার রাজিব ওরফে থাবা বাবার জানাজার নামাজের নামে তিন তাক বিরের সাথে
নারী পুরুষ, হিন্দু-মুসলিম এক সাথে মিলে (বেশির ভাগই অজু ছাড়াই) তিন দিক থেকে ঘিরে
ধরে ঠিক সূর্য ডোবার মুহূর্তে (যখন নামাজ পড়া হারাম) যে নামাজ পড়া হয়েছে তা কি
প্রকারন্তরে নামাজ অবমাননা নয়?**
** রাজাকারের ড্রেস বোঝানোর নামে টুপি, দাড়ির
ভয়ানক অবমাননা।**
** সারা দেশে বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে প্রধান
অতিথি হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আমন্ত্রন। কোন কোন জায়গায় ছাত্রলীগের নামে
আয়োজনেও মুল স্রোত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা।এটা কি ইফতারের অবমাননা নয়?**
** আওয়ামীলীগ কর্তৃক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের
দাবিতে বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রচারণা যেমনঃ মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন এবং মঙ্গল শোভা
যাত্রার আয়োজন। এগুলো কি ইসলামের উপর সূক্ষ্ম আঘাতের চেষ্টা না?**
৭। আওয়ামীলীগের অতীতের ইসলাম বিরোধী কাজগুলোঃ
১।১৯৫৫সালে 'আওয়ামী মুসলিমলীগ' শব্দ থেকে মুসলিম
বাদ দিয়ে শুধু আওয়ামীলীগ করে।
২।শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
মনোগ্রাম থেকে “ইকরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজি খালাক” অর্থ পড় সে প্রভুর নামে যিনি
তোমায় সৃষ্টি করেছেন। কোরআনের এই আয়াত তুলে দেন, ধর্মীয় শব্দ বলে।
৩।শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
মনোগ্রাম থেকে “রাব্বি জিদনী ঈলমা” অর্থ “প্রভু আমায় জ্ঞান দাও”।কোরানের এই
আয়াতটিও তিনি তুলে দেন তাঁর প্রচন্ড ক্ষমতা বলে ধর্মীয় শব্দের অযু হাতে।
৪। “কবি নজরুল ইসলাম কলেজ” থেকে ইসলাম বাদ দিয়ে,
কবি নজরুল কলেজ করা হয়।অপবাদ দেন ধর্মীয় দৃষ্টি ভঙ্গির।
৫।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “সলিমূ্ল্লাহ মুসলিম হল”
থেকে, মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে সলিমূ্ল্লাহ হল করা হয়, যা এখনও বিদ্যমান। অপবাদ ইসলাম
ধর্মের। অথচ ভারতের মত কট্টর হিন্দুয়ানী দেশে ২০০ শত বছরের পুরানো বিদ্যাপীঠ আলীগড়
মুসলিম বিশ্ববিদ্যালেয় নামের সাথে মুসলিম শব্দ আজও টিকে আছে।
৬।ঢাকার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রোডের নাম
পরিবর্তন করা লাগবে, তার স্থলে বসানো হল ইন্দিরা গান্ধীকে।ধরেই নিলাম ইন্দিরা
গান্ধী একদা আমাদের বন্ধু ছিল, সেজন্য তো অন্য রোড ছিল। আবার জিন্নাহতো আমাদের
দোষমন ছিল না। রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকতেই পারে, তিনিই পাকিস্থান সৃষ্টি করেছেন,
পাকিস্থান না হলে শেখ মুজিব কখনও বলতে পারতেন না - বাংলাদেশ।
৭।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আল্লামা ইকবাল হলের নাম
পরিবর্তন করে সূর্যসেন হল করা হয়।
(ইকবাল মুসলিম জাগরনের কবি, তাঁর কবিতা মুসলিম
সাহিত্য, মাদ্রাসা, হাজারো আলেমের হূদয়ে গুঞ্জরণ হয় আজো। মুসলিম জাতিকে গড়ে তূলতে
২৫ হাজার পংতির শুধু কবিতাই লিখেছেন। তিনিই প্রথমে বৃটিশ থেকে স্বাধীন করে আলাদা
একটি মুসলিম ভূখন্ডের কথা বলেছিলেন ফলে তাকে পাকিস্থানের স্বপ্ন দ্রস্টা বলা
হয়।তিনি মৃত্যুবরন করেন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মানে পাকিস্থানের
জন্মেরও বহু আগে।ইকবালের নাম না হয় তুলে দেয়া হল, কিন্তু যার নাম তাঁর যায়গায়
দেওয়া হল তিনি হলেন বিপ্লবী নেতা সূর্য সেন। সূর্য সেন চরম মুসলিম বিদ্ধেষী, তার
দলে মুসলিম তো দূরের কথা, ব্রাহ্মন ব্যতীত কোন সাধারন হিন্দুকেও সদস্যও করা হত
না।তিনি বৃটিশের বিরুদ্ধে বিপ্লবের কথা বলে যত ব্যক্তি হত্যা করেছেন, তার ৮০%
ছিলেন মুসলিম।)
৮।শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর শাসনকালে
ধর্মনিরেপেক্ষ তার অজুহাত তুলে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহর মত ছোট্ট কথাটিকেই
ঝেঁটিয়ে বিদায় করেন।
৯।১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায়
কুকুরের মাথায় টুপি পরা ছবি দেওয়ালে একে ইসলামী প্রতীকের অবমাননা।
১০।১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে ইসলামী দলগুলো কে ঢালাও
ভাবে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করা।
শেয়ার করুন এবং সংগ্রহে রাখুন।সম্ভব হলে আরও
তথ্য রেফারেন্স সহ কমেন্টে যোগ করুন।আপনাদের সহযোগিতা কাম্য।
৮। শেখ
হাসিনা আল্লাহর নাম বাদ দিয়ে দেব দেবীর ওপর ভরসা করে দেশ চালাচ্ছে -মুফতী আমিনী
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতী
ফজলুল হক আমিনী বলেছেন, বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার সংবিধান
থেকে আল্লাহর নাম বাদ দেয়ার পর দেব-দেবীর ওপর ভরসা করে এখন দেশ চালাচ্ছে। তাদের কথায়ই
মনে হয় দেব-দেবীরাই এখন দেশের উন্নয়নের কান্ডারী। বাংলাদেশ এখন মুসলমানদের দেশ রইল
না। মূর্তিপূজক, নাস্তিক, খোদাদ্রোহী শক্তিদের আখড়ায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে। মুসলমানদের
এই বিষয়গুলো গভীরভাবে চিন্তা করা দরকার। অন্যথায় দেশ হারাতে হবে দাসত্বের শৃক্মখলে
আবদ্ধ হতে হবে। মসুলমান পরিচয় দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। বর্তমান সরকারের নীতি-নির্ধারণী
মহল থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে ইসলাম ও খোদাদ্রোহিতার এক সয়লাব দেখা যাচ্ছে। নাস্তিক
মুরতাদদের দাপটে ইসলামপ্রিয় জনতার জন্য স্বাভাবিক কার্যক্রম ও জীবনযাপন কঠিন হয়ে যাবে।
এরপরও যদি এই খোদাদ্রোহী দেশবিরোধী
আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া না হয়, তাহলে অচিরেই মুসলমানদের
এই দেশ অমুসলিম দেশ হিসাবে পরিচয় লাভ করার আশঙ্কা রয়েছে। কোন আলেম বা পীর নামধারী যদি
এই সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার কোন ধরনের প্রচেষ্টা চালায়, তাহলে শুধু জনগণের কাছেই
তারা প্রত্যাখ্যাত হবে না, ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তিনি ১০ অক্টোবর সিলেট
অভিমুখে রোডমার্চ ও ১৩ অক্টোবর ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির জাতীয় উলামা মাশায়েখ ও
বুদ্ধিজীবী কনভেনশনসহ এই সরকারের বিরুদ্ধে সকল কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহবান
জানান।
গতকাল শুক্রবার বাদ আসর লালবাগস্থ
কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানা থেকে নেতাকর্মীরা সাক্ষাৎ করতে আসলে তাদের উদ্দেশ্যে
মুফতী আমিনী একথা বলেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, জোটের সাংগঠনিক সচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ,
ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহলুল্লাহ
ওয়াছেল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
৯।বিসমিল্লাহ মুছে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ
হাসিনার বাংলাদেশ’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক ডায়েরি থেকে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম উঠিয়ে দিয়ে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার
বাংলাদেশ’ স্লোগান বসিয়েছে প্রশাসন। বাংলাদেশের জাতিয় সংসদ ভবনেও যা লিখা রয়েছে।
বর্তমান প্রশাসনের এমন কর্মকান্ডে চরম ফুঁসেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযোগ
মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।
বিগত বছরগুলোতে ইবি’র ডায়েরির প্রথম পাতার
শির্ষে বিসমিল্লাহ্ বাক্যটি লিখা থাকতো। যার কয়েক পৃষ্ঠা পরেই রয়েছে ইবি
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য। ইবি আইন ১৯৮০ (৩৭) ধারা অনুযায়ী সেখানে বলা আছে, “ধর্মতত্ত¡,
ইসলামী শিক্ষা, তুলনামূলক আইনশাস্ত্র এবং অন্যান্য শিক্ষণ শাখাসমূহে ইসলামী
দৃষ্টিকোণ থেকে শিক্ষাচর্চার ব্যবস্থা করা।” অথচ এই আইনের প্রকাশ্য অমান্য করলো
বর্তমান প্রশাসন।
বিসমিল্লাহকে অস্বীকার করা কার্যত ওই আইনকেও অস্বীকার করা। এবছর সেই স্থানে বিসমিল্লাহ না লিখে সরকারি স্লোগান লিখেছে প্রশাসন। সেখানে লিখা হয়েছে, “শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।” বিসমিল্লাহ বাদ দিয়ে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ হাজার মুসলিম শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ধর্মীও অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমান প্রশাসন কোন ভাবেই এ দ্বায় এড়াতে পারবেন না বলে অভিযোগ ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজের। ২০০২ থেকে ০৯ সাল পর্যন্ত ডায়েরির শুরু হতো আল্লাহর নাম দিয়েই। তবে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ডায়েরির শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখা হয়নি। অথচ ’৯৬ এর আগেও বিসমিল্লাহ রাখা হতো। বর্তমানে আবারো সে সরকারের আমল শুরুর পর ডায়েরি প্রকাশে বর্তমান প্রশাসন পূর্বের ধারা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ তাদের। তবে বিসমিল্লাহ বাদ দেয়ার অভিযোগ মাথায় নিচ্ছে না মুদ্রণ কমিটিসহ প্রশাসনের কেউ। একে অপরের ওপর দ্বায় দিয়ে খালাস হতে চাচ্ছেন।
মুদ্রণ কমিটির আহ্বায়ক ড. রাবিউল হোসেন বলেন,
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোকে ডায়েরি প্রাকাশের নির্দেশনা ছিল। সে অনুযায়ী সংযোজন
বিয়োজন করা হয়েছে। যে উক্তিটি দেয়া হয়েছে তা বর্তমান সরকারের স্লোগান। সবস্থানে
দেয়া হয় বলে আমরাও দিয়েছি।’
ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘ডায়েরি
প্রকাশে কমিটি করে দিয়েছিলাম। তারা এ বিষয়টির দায়িত্বে আছে। ভুল করে যদি
বিসমিল্লাহ বাদ পড়তে পারে। আগামী বছর আমরা বিসমিল্লাহ রাখব।’
http://www.timenewsbd.net/news/detail/106464#sthash.pVM542uk.S3Q6IpoJ.dpuf
১০।আইনমন্ত্রী
১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মুসলমানগণের
সাথে বিধর্মীদের
বিবাহ জায়িয বলে আইন জারি করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
কোনো মুসলমান বিধর্মীকে বিয়ে করতে পারে
না, করলে সে আর মুসলমান থাকতে পারে না: এমন দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া শিশুটি হবে জারয--
গত ২২শে এপ্রিল ২০১২ ঈসায়ী তারিখে আইমন্ত্রী ১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ
আইনের নামে মুসলমানের সাথে বিধর্মীদের যে বিয়ের আইন ঘোষণা করেছে তা ইসলামী শরীয়তের
ভাষায় স্পষ্ট কুফরী, হারাম, নাজায়িয এবং মুরতাদী হয়েছে।
কোনো মুসলমান বিধর্মীকে বিয়ে করতে পারে না। বিয়ে করলে সে আর মুসলমান
থাকতে পারে না। বরং মুরতাদের পরিণত হয়। পবিত্র কুরআন শরীফ-এ এ ব্যাপারে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা
রয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা মুসলমান পুরুষগণ
মুশরিক অর্থাৎ বিধর্মী মেয়েদেরকে বিবাহ করো না; যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈমান গ্রহণ না
করবে।
আইনমন্ত্রী ১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মুসলমানগণের
সাথে বিধর্মীদের বিবাহ জায়িয বলে আইন জারি করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা মুসলমান পুরুষগণ মুশরিক অর্থাৎ
বিধর্মী মেয়েদেরকে বিবাহ করো না; যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈমান গ্রহণ না করবে।
আরো ইরশাদ করেন, তোমরা মুসলমান মেয়েগণ মুশরিক অর্থাৎ বিধর্মী পুরুষদের
সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না; যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈমান গ্রহণ না করবে।
অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক-এ ফয়ছালা করে দিলেন যে,
কোনো মুসলমান পুরুষ বা মহিলাগণ কোনো বিধর্মী মহিলা বা পুরুষদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ
হতে পারবে না।
আরো ইরশাদ করেন, তোমরা মুসলমান মেয়েগণ মুশরিক অর্থাৎ বিধর্মী পুরুষদের
সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না; যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈমান গ্রহণ না করবে। একজন মুসলমান
বান্দা বা পুরুষ একজন মুশরিকের তুলনায় অনেক ভালো, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও।
তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজের হুকুমে জান্নাত ও ক্ষমার
দিকে আহবান করেন। আর তিনি মানুষের জন্য নিজের নিদর্শন অর্থাৎ আদেশ নিষেধ বলে দেন যাতে
তারা উপদেশ গ্রহণ করে। (সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ ২২১) সূতরাং-
‘কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এ নির্বাচনী
প্রতিশ্রুতির সরকারের উচিত- অবিলম্বে মুরতাদ আইনমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা, তথাকথিত স্পেশাল
কাজীকে বরখাস্ত করা এবং এ মুরতাদী আইন বন্ধ করা। বলা বাহুল্য যে, ১৮৭২ সালের আইনেও
মুসলমান কর্তৃক বিধর্মীদের বিয়ে জায়িয বলা হয়নি। ১৮৭২ সালের বিশেষ বিয়ে আইনে বলা হয়েছে,
যে ব্যক্তি খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু, মুসলিম, পারসি, বৌদ্ধ, শিখ অথবা জৈন কোনো ধর্মই
পালন করে না, তারা এ আইনের অধীনে বিয়ে করতে পারে। এ আইনের অধীনে বিয়ে করতে হলে পাত্র-পাত্রীকে
ঘোষণা করতে হবে, তারা কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। ধর্ম ত্যাগের ঘোষণা না করলে বিয়েটি
অবৈধ, বরং বাতিল হবে। তবে বিয়েটি যদি হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈনদের মধ্যে সম্পাদন করা
হয় তাহলে তারা নিজ নিজ ধর্ম অনুসরণ করতে পারবে।
“Marriages may be celebrated under this Act between persons
neither of whom professes the Christian or the Jewish, or the Hindu or the
Muslim or the parsi or the Buddhist, or the Sikh or the Jaina religion, or
between persons each of whom professes one or other of the following religions,
that is to say, the Hindu, Buddhist, Sikh or Jaina religion.”
বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় বিয়ে করা দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ ১৮৬৯ সালের
খ্রিস্টান বিবাহ বিচ্ছেদ আইন অনুসারে ঘটানো যাবে।
বিশেষ বিয়ে আইনের ইতিহাস:
ব্রাহ্ম সমাজভুক্ত ব্যক্তিরা হিন্দু কিনা, তারা হিন্দু না হলে তাদের
বিবাহরীতি পদ্ধতি কিভাবে হিন্দুমতে সম্পন্ন হবে? যদি তাই হয়, তাহলে ব্রাহ্ম সন্তানরা
কোন আইনে উত্তরাধিকারের অধিকার পাবে? এসব প্রশ্নের সমাধানকল্পে এগিয়ে আসে ব্রাহ্ম সমাজের
কেশবচন্দ্র সেন৷ সে ঘোষণা দেয়, সর্বধর্ম সমন্বয়ক হিসেবে যে কোনোও ধর্মের লোক ব্রাহ্ম
সমাজের সদস্য হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে কোনোও মুসলিম কিংবা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী যদি ব্রাহ্মের
দীক্ষা নেয়, তাহলে কোন বিধিতে তাদের বিবাহকার্য সম্পন্ন হবে? এসব সমস্যার আইনগত সমাধানের
জন্য কেশবচন্দ্র সেন উদ্যোগী হয়। ১৮৬৭ সালের ২০ অক্টোবর ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্ম সমাজের
এক অধিবেশনে সে ব্রাহ্ম বিবাহ বিধিবদ্ধ করার উৎকৃষ্ট উপায় নির্ধারণের জন্য ব্রাহ্মদের
কাছে আবেদন জানায়, ১৮৬৮ সালে সিভিল ম্যারেজ বিল উত্থাপন করলে ব্রিটিশ সরকার সমর্থিত
এ বিলে বলা হয়, ‘যদি কোনো ব্যক্তি হিন্দু অথবা মুসলমান অথবা ভারতবর্ষে প্রচলিত অন্য
কোনোও ধর্মাশ্রিত হয়ে সেই ধর্ম অবিশ্বাস করে এবং সেই ব্যক্তি ওই ধর্ম প্রকাশ্যরূপে
পরিত্যাগ না করে ওই ধর্মের বিবাহ পদ্ধতি অনুসারে বিবাহ করে, তাহলে সেই বিবাহ আদালতে
বৈধ বলে গণ্য হবে।’ কিন্তু এ ব্যাপারে তৎকালীন সমাজে প্রবল মতবিরোধ দেখা দেয়৷ ফলে এ
আইন বিধিবদ্ধ না হয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য পর্যালোচনা কমিটিতে পাঠানো হয়। পর্যালোচনা
কমিটি দীর্ঘ ২ বছর নানা দিক বিবেচনা করে ‘ব্রাহ্ম ম্যারেজ অ্যাক্ট’ প্রণয়নের সুপারিশ
করে। অবশেষে নানা যুক্তিতর্ক, বাদানুবাদ ও শঙ্কা আশঙ্কার পর ১৮৭২ সালে ব্রাহ্ম বিবাহ
বিধি ‘সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট’ নামে পাস হয়।
ব্রাহ্ম সমাজের টিকে থাকার স্বার্থে যে স্পেশাল ম্যারেজ এ্যাক্ট হয়েছে
তা মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে না। মুসলমানদের জীবন বিধান পবিত্র কুরআন শরীফ।
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ তোমরা পরিপূর্ণভাবে
ইসলাম-এ প্রবেশ কর।” কাজেই ইসলাম-এ পরিপূর্ণভাবে প্রবেশের পরিবর্তে কোনো বিধর্মীকে
স্ত্রীরূপে গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, “প্রত্যেকেই রক্ষক তাকে তার রক্ষিত বিষয় (স্ত্রী-সন্তান)
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।” কাজেই কারো যদি বিধর্মী স্ত্রী বা সন্তান থাকে সে জবাব
দিতে পারবে না।
মুসলমান কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ অমান্য করলে সে এমনিতেই মুরতাদ হয়।
আর হারামকে হালাল মনে করলেও মুরতাদ হয়। কোনো মুসলমানের জন্য বিধর্মীদের বিয়ে করা হারাম।
সুতরাং কোনো মুসলমান বিধর্মী বিয়ে করলে সে মুরতাদ হবে। তার বিয়ে শুদ্ধ হবে না। তার
সন্তানও বৈধ হবে না।
আইনমন্ত্রী বিবৃত ১৮৭২ সালের বিশেষ বিয়ে আইন মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য
করা, এজন্য তার এপিএসের স্পেশাল কাজী নিয়োগ করা বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী ধর্মপ্রাণ
মুসলমান কখনো মেনে নিবে না। কারণ এর ফলে অনেক মুসলমান যুবক বিভ্রান্ত হয়ে বিধর্মী বিয়ে
করবে। পরিণতিতে তারা মুরতাদ হবে। তাদের সন্তান অবৈধ হবে। অতএব, জান-মাল দিয়ে হলেও ৯৭
ভাগ মুসলমানগণ তা প্রতিহত করবে। তবে ‘কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস
হবে না’ এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সরকারের উচিত- নিজ থেকেই এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা। নচেৎ
তারা ওয়াদা খিলাফকারী প্রমাণিত হবে। আর জনগণও তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে।
সংকলনে:
মাওলানা মো: শিহাব এম এ- ইসলামিক স্টাডিজ (বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ)
(আরো
জানতে –দ্বিতীয় অংশ দেখুন)
No comments:
Post a Comment